উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (পাঠ ৫)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম | - | NCTB BOOK
64
64

জেনারেল আইয়ুব খানের পতনের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সর্বদলীয় 'ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গঠন করে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগার দফা আওয়ামী লীগের ছয় দফা সম্মিলিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। সরকার এই আন্দোলনকে দমন করার জন্য পুলিশি নির্যাতন শুরু করে। ১৯৬৯ সালের ২০শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র আসাদুজ্জামান (আসাদ) শহিদ হয়। আসাদ শহিদ হওয়ার পর এই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ১৯৬৯ এর ১৫ই ফেব্রুয়ারি আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকার কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৮ই ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি সৈন্যরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি বিক্ষোভকারী ছাত্রদেরকে শান্ত করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এইসব খবরে সারা দেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। সামরিক সরকার ১৯৬৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়। আন্দোলনের তীব্রতায় ভীত হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে ২৫শে মার্চ ১৯৬৯ সালে জেনারেল আইয়ুব খান তার সেনাপ্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খান-এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলার ছাত্রজনতা এভাবেই তাদের আন্দোলনে সফলতা লাভ করে ।

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion